স্বদেশ ডেস্ক:
অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে কুইন্সের তিনটি হোটেল ব্যবহৃত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে বন্যার বেগে আসতে থাকা অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নগরীর হোমলেস সার্ভিসেস দুটি সোস্যাল-সার্ভিস যোগানদারের সাথে চুক্তি করেছে নতুন অভিবাসন শেল্টারের জন্য। ১৭ মিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির ফলে জ্যামাইকার রামাদা উইন্ডহ্যাম এবং ইস্ট ইমহার্স্টের সাবেক ম্যারিয়ট কোর্টইয়ার্ড ব্যবহৃত হবে শরণার্থীদের জন্য। এছাড়া কুইন্স সিটির কাউন্সিলওম্যান ভিকি পালাডিনো জানিয়েছেন, বেসাইডের অ্যাঙ্কর ইনকে জরুরি অভিবাসন শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করার নোটিশ পেয়েছেন। এতে কত খরচ হবে তা জানা যায়নি।
মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, ২০২২ সালের সামার থেকে নগরী অভিবাসীদের ঢল সামাল দিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এই ব্যয়ের পরিমাণ ৪.৩ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিকি পালাডিনো জানিয়েছেন, অভিবাসীদের নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
তিনি মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শিথিল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নীতির ফলে নিউ ইয়র্কারদের মধ্যে কেবল সমস্যাই সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এমনটি চলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা সীমান্ত খোলা রেখে বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট করছি।
নিউইয়র্কে বর্তমানে ৩৪ হাজার ৬০০ অভিবাসী অবস্থান করছে বলে মেয়রের অফিস সূত্রে জানা গেছে। অভিবাসীদের জায়গা দিতে নগর কর্তৃপক্ষ ১০৩টি জরুরি শেল্টার এবং আটটি মানবিক সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে।
এদিকে অনেকে অভিবাসীদের কারণে নিউ ইয়র্কে স্বাস্থ্য সমস্যার কথাও বলেছেন। সিটি হেলথ কমিশনার ডা. অশ্বিন ভাসান সম্প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে অভিবাসীদের প্রায় ৫০ ভাগ প্রাণঘাতী পোলিওভাইরাস ও অন্যান্য টিকা গ্রহণ না করায় নিউ ইয়র্ক সিটির জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাদের অনেকে যক্ষ্মার টিকাও গ্রহণ করেনি। তিনি অভিবাসীদের দ্রুত টিকা দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন।